বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
বরগুনা (বেতাগী) থেকে অলি আহম্মেদঃ— বিদ্যালয় আছে। নেই শহীদ মিনার। তাই হয় না একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো আয়োজন। সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক হলেও ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছরেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদের স্মৃতিচিহ্ন শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ! তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলেই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একদিনের জন্য অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২০টি মাধ্যমিক, ৮টি নিম্ন মাধ্যমিক, ২০টি মাদ্রাসা ও ৯টি কলেজ মিলিয়ে মোট ১৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলের ফসল খেসারী কলাই
একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নিম্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। তাই প্রতিবছর মহান একুশে ফেরুয়ারি ও মাতৃভাষা দিবসের দিনে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কোনোটিতে একদিনের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঁশ, ককশিট কিংবা কলাগাছ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিল করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে তা-ও করা হয় না।
আরও পড়ুনঃ শার্শায় চোরাকারবারীর পথ ছেড়ে দেশের স্বার্থে সোনালী মাঠে সবজি চাষে ব্যস্ত তারা
অভিভাবকরা জানান, বেশিরভাগ বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার না থাকায় ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জানে না শহীদ মিনারের তাৎপর্য। আবার যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে, সেগুলোও নিয়মিত পরিস্কার না করায় ধুলা পড়ে অপরিস্কার হয়ে থাকে। তাই একুশের কয়েকদিন আগেই শহীদ মিনার ধুয়েমুছে পরিস্কার করা হয়। আমরা চাই, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি করে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা হোক।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুর রহমানর জানান, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ডেকে শীঘ্রই শহীদ মিনার তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবিরের সাথে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গির আলম জানান বলেন, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার তৈরি করা প্রয়োজন। তবে না থাকাটা দুঃখ জনক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিব আহসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ধাপে ধাপে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply